বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১০টির মধ্যে ছয়টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ণিমার আগমন ও বাতাসের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ কারণে নিম্নাঞ্চল ও বরিশাল নগরীর কিছু কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। মূলত জোয়ারের সময়ে পানি বাড়লেও ভাটায় তা কমে যায়।
আজ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম।
তিনি বলেন, বিভাগের মোট ২৩টি নদীর মধ্যে প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি প্রবাহ এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
সেগুলোর মধ্যে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝালকাঠি জেলার বিশখালী নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং পিরোজপুর জেলার উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা, ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া, বরগুনা জেলার বিশখালী এবং পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর পানি।
জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, এটি বন্যা পরিস্থিতি না। নদী প্রধান বরিশাল বিভাগের বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক চিত্র।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।